আজকের এই বর্তমান সময়ে অর্থাৎ আধুনিক যুগে সোশ্যাল মিডিয়া সকলের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। প্রতি বছর ৩০ জুন দিনটিকে বিশ্ব সোশ্যাল মিডিয়া দিবস (world Social Media Day) হিসাবে পালন করা হয়। বিশ্ব সোশ্যাল মিডিয়া দিবসের মূল লক্ষ্য হ’ল কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্বে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল তা সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা।
আজকের সময়ে, সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্বের প্রতিটি কোণের মানুষকে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া খুব প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্র্যান্ড প্রচারে সহায়তা করে। একই সাথে, গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এবং ঘটনাগুলি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দ্রুত শেয়ার করা হচ্ছে। আজকের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া গেম চেঞ্জারে পরিণত হয়েছে।
এগুলি ছাড়াও, করোনা কালে, মহামারীর মধ্যে হতাশাগ্রস্থ মানুষজনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলি হেল্পলাইনে পরিণত হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া দিবসের ইতিহাস:
২০১০ সালের ৩০ জুন, বিশ্বজুড়ে প্রথম বিশ্ব সোশ্যাল মিডিয়া দিবস পালিত হয়েছিল। বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব এবং বিশ্ব যোগাযোগের ক্ষেত্রে এর ভূমিকার উপর জোর দেওয়ার জন্য বিশ্ব সোশ্যাল মিডিয়া দিবসটি তখন পালিত হয়েছিল। প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সিক্সডিগ্রিজ (SixDegrees) ১৯৯৭ সালে বিশ্বব্যাপী চালু করা হয়েছিল। এটি অ্যান্ড্রু ওয়েইনরিচ (Andrew Weinreich) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০০১ সালে, সিক্সডিগ্রিজের এক মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী হয়ে যাওয়ার পর এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আজকের দ্রুত পরিবর্তন হওয়া সময়ে, সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলিও দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়ও হয়ে উঠছে। বর্তমানে টুইটার (Twitter), ইনস্টাগ্রাম (Instagram), লিংকডইন (LinkedIn), স্ন্যাপচ্যাট (Snapchat)-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলি তথ্যের উৎস হিসাবে বহুল ব্যবহৃত হয়। যদিও, কখনো কখনো এই প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে ভুল তথ্যও ছড়িয়ে পড়ে।
সোশ্যাল মিডিয়া দিবসের গুরুত্ব:
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪.৭২ বিলিয়নে পৌঁছেছে। এখন বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির গুরুত্ব তুলে ধরতে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়া দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে আমরা মেসেজিং পরিষেবা অ্যাপের সাহায্যে কয়েক হাজার মাইল দূরে বসে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে জুড়ে থাকতে পারি। একই সাথে, মোবাইলে একটি বোতাম টিপে আমরা পুরো বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারি। যেকোনো ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের ব্র্যান্ডের প্রচার করতে পারেন। এর ফলে ব্যবসা বাড়াতে থাকে এবং গ্রাহকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা হয়।