মুম্বইয়ে নথিভূক্ত হল ডেল্টা প্লাসের (Delta plus) প্রথম মৃত্যু, মুম্বাইয়ের ঘাটকোপার এর বাসিন্দা ৬৩ বছরের মহিলা, হাসপাতালের আই. সি. ইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭শে জুলাই মারা যান। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ যে করোনার (COVID-19) ডেল্টা প্লাস তা সামনে আসে ১১ই আগস্ট জিনোম সিকোয়েন্স রিপোর্টে। উদ্বেগের বিষয় মৃত বৃদ্ধার টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছিল, তিনি কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নিয়েছিলেন। এছাড়া মহিলার আগে সংক্রমণ ও ভ্রমণের রেকর্ডও নেই। তা সত্ত্বেও তিনি করোনা আক্রান্ত হন। এছাড়া বৃদ্ধার সংস্পর্শে আসা ২ জনের শরীরেও করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গেছে, ৬ জন কোভিডে আক্রান্ত ও বাকিদের রিপোর্ট এখনও আসেনি।
২১ জুলাই আক্রান্ত হবার সময় বৃদ্ধার শুকনো কাশি, স্বাদহীনতা, শরীর ও মাথা ব্যাথার মত উপসর্গ দেখা যায়। পরে ফুসফুস ও শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা হওয়ায় বাড়িতে অক্সিজেন এনে স্টেরোয়েড ও রেমডেসিভিরের একসাথে প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা চালানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ২৪ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তাঁর তিনদিন পরই তিনি মারা যান।
মুম্বাইয়ের প্রথম হলেও মহারাষ্ট্রতে এটা ডেল্টা প্লাসের দ্বিতীয় মৃত্যু। এর আগে রত্নাগিরি জেলার ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ মহিলা ১৩ই জুন ডেল্টা প্লাস করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে তিনি ভ্যাকসিনের কোনো ডোজই নেননি।
বৃহন মুম্বাই পৌরসভা (BMC) তাদের রিপোর্টে জানান, ডেল্টা প্রজাতির আক্রান্ত সনাক্ত করার জন্য তারা কিছু কোভিড আক্রান্তের জিনম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করেন, সেখানেই মুম্বাইয়ের মোট ৭ জনের মধ্যে এই ডেল্টা প্লাসের খোঁজ মেলে।
মহারাষ্ট্রে সরকার তিন দিন আগে জানান নতুন আরো ২০ জন ডেল্টা প্লাস আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, যার সাথে রাজ্যে ডেল্টা প্লাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে ৬৫ জন। নতুন এই কেস গুলির মধ্যে ৭টি মুম্বাইয়ে, ৩টি পুণেতে, নানদিত গোন্ডিয়া ও রাইগড়ে ২টি করে এবং চন্দ্রপুর ও আকোলা জেলায় ১টি করে।
আক্রান্ত ৬৫ জনের মধ্যে ৩৩ জনই ১৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ও ১৭ জন ৪৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী। এছাড়া ৭ জন শিশু ও ৮ জন বৃদ্ধও আক্রান্ত হয়েছে এই ডেল্টা প্লাস প্রকারের করোনায়। যা চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে সকলের কাছে। কারণ এর আগে করোনা শিশুদের তেমন ভাবে আক্রান্ত করেনি, তবে এক্ষেত্রে শিশুরাও সুরক্ষিত নয় আর।
আরও পড়ুন
Covid Vaccine: এবার দেওয়া হতে পারে দুটি আলাদা কোম্পানির মিশ্র ভ্যাকসিন, স্বীকৃতি ICMR-এর