শর্মিষ্ঠা ঘোষ: বসন্ত আসে ,বসন্ত যায়। প্রায় ৪৬ বছর পর ফিরে এলো ফুটবলের সেই বসন্ত। লেবাননকে হারিয়ে ভারতবর্ষ জয় করল ইন্টারকন্টিনাল কাপ। রবিবার ভুবনেশ্বরে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ২-০ গোলে লেবাননকে হারাল ইগর স্তিমাচের দল। গোল করে ভারতের জন্য কাপ নিয়ে এল সুনীল ছেত্রী ও লালিয়ানজুয়ালা চাংতে।
এর আগেই ২০১৮ সালে কোনিয়াকে হারিয়ে ইন্টারকন্টিনেল কাপ জিতেছিল ভারত। এবার ২০২৩ এ লেবাননকে হারিয়ে ইন্টারকন্টিনাল কাপ জয় করলো মেইন ইন ব্লুর দল। ১৯৭৭ সালে ফিফা র্যাঙ্কিং এ ওপরে থাকা দলকে শেষবারের মতো হারিয়ে প্রেসিডেন্সি কাপ জয় করেছিল ভারতীয় ফুটবল টিম। এবার তার চার দশক পর লেবানন কে হারিয়ে জয়ের শিরোপা পেল ভারত। এটা সুনীলদের দ্বিতীয় জয়।
প্রথম পর্বে গোল না দিতে পারলেও দ্বিতীয় পর্বে দুটো গোল দিয়ে ম্যাচের চিত্রটাকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল মেইন ইন ব্লুর দল। বিরতির পর তাক লাগিয়ে দেন লালিয়ানজুয়ালা চাংতে। নিজে একটা গোল করলেন ও আর একটা গোল করালেন । চাংতের সহায়তায় পায়ের আলতো টোকাই বল গোলপোস্টে ঢুকিয়ে দেন সুনীল ছেত্রী। বিরতির পর ম্যাচে পুরোপুরি হারিয়ে যায় লেবানন। ভারতের এইরকম আক্রমণাত্মক ফুটবল ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে যায় লেবানন।
ম্যাচ জেতার পর স্তিমাচ বলেন, “প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতা দরকার। জয়ের পর আমি ও আমার গোটা টিম খুব খুশি। কিন্তু বিরতির সময় আমরা মোটেও খুশি ছিলাম না। বিরতির পর ড্রেসিংরুমে আমাদের আলোচনাটা এই ম্যাচে দুর্দান্ত কাজে লেগেছে”।
ভারতীয় ফুটবলের এক নতুন সূর্যোদয় হল রবিবারের ম্যাচে। সারা স্টেডিয়াম জুড়ে মেতে উঠল “ছেত্রী-ছেত্রী” ধ্বনিতে। ভারতে ফুটবলের এই প্রশংসিত জয় নবীন পট্টনায়ক খুব উচ্চসিত। তিনি দলকে অভিনন্দন জানান । এছাড়া উড়িষ্যার সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় ফুটবল টিমকে ১ কোটি টাকার পুরস্কার দেওয়া হবে এমনই ঘোষণা করেন তিনি।
এরপর বুধবার বেঙ্গালুরুতে শুরু হচ্ছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত । তাই আশা করা যায়, এই উচ্চসিত জয় পরবর্তী কাপ জেতার জন্য আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে সুনীলদের।